অনলাইন ডেস্ক: শামিমা বেগমকে সিরিয়া থেকে নিজ দেশে ফিরতে সুযোগ দেওয়া হবে কিনা; শুক্রবার সেই রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছে ব্রিটেনের সুপ্রিমকোর্ট।
নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে মোকাবেলায় ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই তরুণী।
তার দাবি, ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত বেআইনি। এতে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন এবং তার মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে।
সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়ায় বছর দুয়েক আগে জাতীয় নিরাপত্তা কথা বিবেচনা নিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। তখন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সাজিদ জাভিদ।
জিহাদি গোষ্ঠীদের যোগ দেওয়া নাগরিকদের প্রতি দেশগুলো কী রকম আচরণ করে, তার একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখা হবে এই রায়কে। বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসি এমন খবর দিয়েছে।
স্কুলের দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে শামিমা যখন সিরিয়ায় পাড়ি জমান, তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। পরে এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন তিনি।
সিরিয়ার ক্যাম্পে বর্তমানে এই ২১ বছর বয়সী তরুণী দুর্গত অবস্থায় রয়েছেন। তার স্বামী সিরীয় কারাগারে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে এবং তাদের তিনটি সন্তানই মারা গেছে।
তাকে বীভৎস উগ্রবাদী বলে আখ্যায়িত করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান। পত্রিকাটি জানায়, আমাদের মাটিতে তার স্থান হতে পারে না।
শামিমা দেশে ফিরে তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে মোকাবেলা করতে পারবেন কিনা; পাঁচ বিচারক সেই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
গত জুলাইয়ে কোর্ট অব আপিল বলেছিল, তার বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্ত মোকাবেলায় তাকে ন্যায়সঙ্গত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ক্যাম্প থেকে সে তার মামলায় লড়তে পারে না।
এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে তখন সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ জানায় ব্রিটিশ সরকার। কাজেই শুক্রবার তার ভাগ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.